বিলিরুবিন বা জন্ডিস টেস্ট কি ও কেন করা হয় এবং সর্তকতা

3 Min Read
বিলিরুবিন বা জন্ডিস টেস্ট কি

বিলিরুবিন বা জন্ডিস টেস্ট – বিলিরুবিন পরীক্ষা হল একটি রক্ত পরীক্ষা যা রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা পরিমাপ করে। বিলিরুবিন হল একটি হলুদ পদার্থ যা লাল রক্তকণিকা ভেঙ্গে গেলে তৈরি হয়। এটি সাধারণত লিভারের মাধ্যমে শরীর থেকে নির্গত হয়, যা এটিকে পিত্তের উপাদান হিসাবে অন্ত্রে ছেড়ে দেয়। রক্তে বিলিরুবিনের উচ্চ মাত্রা লিভার বা গলব্লাডারের সমস্যা বা লোহিত রক্তকণিকার উৎপাদন বা ভাঙ্গনকে প্রভাবিত করে এমন অন্যান্য অবস্থার ইঙ্গিত দিতে পারে।

মোট বিলিরুবিন, প্রত্যক্ষ বিলিরুবিন এবং পরোক্ষ বিলিরুবিন সহ বিভিন্ন ধরণের বিলিরুবিন পরীক্ষা রয়েছে। মোট বিলিরুবিন পরীক্ষা রক্তে বিলিরুবিনের সামগ্রিক মাত্রা পরিমাপ করে। সরাসরি বিলিরুবিন পরীক্ষা বিলিরুবিনের অংশ পরিমাপ করে যা সংযোজিত হয় (গ্লুকুরোনিক অ্যাসিড নামক পদার্থের সাথে মিলিত), যা এটিকে আরও দ্রবণীয় এবং শরীরের পক্ষে নির্মূল করা সহজ করে তোলে। পরোক্ষ বিলিরুবিন পরীক্ষা বিলিরুবিনের অংশ পরিমাপ করে যা অসংলগ্ন (গ্লুকুরোনিক অ্যাসিডের সাথে একত্রিত নয়)।

বিলিরুবিন পরীক্ষা সাধারণত লিভার ফাংশন প্যানেলের অংশ হিসাবে বা যখন একজন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী সন্দেহ করেন যে একজন ব্যক্তির লিভার বা পিত্তথলির সমস্যা থাকতে পারে। পরীক্ষাটি সাধারণত একটি পরীক্ষাগারে করা হয় এবং ফলাফলগুলি সাধারণত কয়েক দিনের মধ্যে পাওয়া যায়।

বিলিরুবিন বা জন্ডিস টেস্ট কি

বিলিরুবিন (Bilirubin) একধরনের হলুদ রংয়ের পিগমেন্ট যা স্বাভাবিক ভাবে রক্ত ও মলে থাকে।বিলিরুবিন টেস্টের মাধ্যমে শরীরের বিলিরুবিন এর মাত্রা নির্ণয় করা হয়।মাঝে মাঝে লিভার শরীরে বিলিরুবিন প্রসেস করতে পারে না।এটা শরীরের বিলিরুবিন বেড়ে যাওয়ার কারণে হতে পারে বা লিভারে ইনফেশনের কারণে হতে পারে।

এই সময় শরীরের রং হলুদ হয়ে যায়,প্রস্রাব আর মলের রং হলুদ হয়ে যায়।

# এই টেস্টের জন্য  তেমন কোন প্রিপারেশন নেই।

# কোন এন্টিবায়োটিক নিয়ে থাকলে জানাতে হবে।

# কেমোথেরাপি বা কোন ধরনের রেডিয়েশন বা হিট থেরাপি নিলে জানাতে হবে।

# বিলিরুবিন টেস্ট না করে স্যাম্পল ফেলে রাখলে সময়ের সাথে সাথে কমে যায়।ভালো ল্যাবে টেস্ট করুন।

# বার্থ কন্ট্রোল পিল খেলে টেস্ট করার সময় জানাতে হবে।

নরমাল রেঞ্জঃ 0.3 – 1.2 mg/dl

কখন বিলিরুবিন বেড়ে যায়ঃ

# লিভার ডিজিস

# গিলভার্ট সিনড্রোম

# বিলিয়ারি স্ট্রিকচার

# ক্যান্সার(গলব্লাডার বা প্যানক্রিয়াস)

# ঔষধের পাশ্বপ্রতিক্রিয়া

# লিভার সিরোসিস

সর্তকতাঃ

# একই দিনে বিভিন্ন ল্যাবে টেস্ট করালে হয়তো পয়েন্ট এদিক-ওদিক হতে পারে,তবে কখনো ১ পয়েন্ট এর ব্যবধান হবে না।

# একদম ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে  বিলিরুবিন টেস্ট বেশ কয়েক বার রিপিট করতে হয়।

# বিলিরুবিন টেস্টের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত স্যাম্পল নেয়া নিশ্চিত করতে হবে।

# “Heamolized Sample” থেকে বিলিরুবিন রেজাল্ট ভুল আসে।

# বিলিরুবিন টেস্টের সাথে ক্রস চেকিং টেস্ট হিসেবে “SGPT” করালে ভালো।

 স্বাস্থ্য আরো বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
Share This Article