পটুয়াখালীর ভালো শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ খুঁজছেন? বুঝতে পারছি, বাচ্চার স্বাস্থ্য নিয়ে টেনশন তো থাকেই—আর সঠিক ডাক্তারের খোঁজে সবাই একটু হিমশিমই খায়। তাই চিন্তা নেই, এখানে পটুয়াখালী জেলার ভরসাযোগ্য কিছু শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের কথা জানাচ্ছি, যাদের হাতে তুলে দিতে পারেন নিশ্চিন্তে।
পটুয়াখালীতে কাদের কাছে যাবেন?
১. ডা. মীর হাসান মো: মোসলেম
খেতাব ব্যাপারটা বেশ লম্বা—সহযোগী অধ্যাপক, লে. কর্নেল, সাথে এমবিবিএস, ডিসিএইচ ও এফসিপিএস পাইতে কোন কমতি রাখেননি। বর্তমানে বরিশালের সিএমএইচ-এ কাজ করেন।
শিশু কিংবা নবজাতকের যত সমস্যা—শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, সর্দি, জ্বর—সবই গুছিয়ে সামলাইতে একদম পাকা হাত তার। বাচ্চা নিয়ে এত চিন্তা থাকে, উনি হাতে থাকলে একরকম নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।
২. ডা. মো: মেহেদি হাসান মিনার
সোজা কথা—শিশু, বড়, মাথা ব্যাথা থেকে শুরু করে ব্লাড প্রেসার, সব রোগে অভিজ্ঞ।
কাগজ কলমে: এমবিবিএস, সিসিডি (বারডেম), সিসিএইচ (NSU)।
পটুয়াখালীতেই চেম্বার। যেকোন সমস্যা নিয়ে গেলে খুব অল্প কথায় গুছিয়ে দেন, ছোট বাচ্চা-বড় বাচ্চা—ফারাক করে না।
৩. ডা. সিদ্ধার্থ শঙ্কর দাস
অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের ভরসার জায়গা।
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), ডিসিএইচ—ডিগ্রি আছে বেশ।
ওজন কম-বেশি, আচরণের একটু গোলপাতা, বা পেটের সমস্যা—শিশুর হাজার জটিলতায় এই ডাক্তারের কাছে অনেকেই ছুটে যান।
বাচ্চাদের কোন সমস্যা নিয়ে যেতে পারেন?
মন খুলে বলতে গেলে—শ্বাসকষ্ট, কাশি, নিউমোনিয়া, ঠান্ডা, বা weird কিছু আচরণ, হরমোন সমস্যা, ওজন বেড়ে যাওয়া/কমে যাওয়া, পেটের ব্যথা, এমনকি special child-এর জন্যও পরামর্শ পাবেন।
এক কথায়: “জ্বর হলে প্রথমে ক্লিনিক, তারপর এই বিশেষজ্ঞদের কাছে।”
ডাক্তার দেখাতে গেলে ফি?
এইটা একটু এলাকা বুঝে বদলায়, আবার আপনি নতুন না পুরনো রোগী তাও দেখবে।
নতুন কেউ গেলে সাধারনত ৬০০ টাকা লাগবে, আগে গেলে বা পুরাতন চেনাজানা হলে অনেক সময় ৩০০ টাকাতেই হয়ে যায়। বিশাল একটা বাঁচানো ম্যান!
আর একটা জিনিস মাথায় রাখেন—আগে থেকে টাইম ঠিক করে যাওয়া ভালো। দেরি করলে এসে দেখবেন, ডাক্তার সাহেব কিন্তু বসে চা খাচ্ছে না, কাজের মধ্যে ব্যস্ত। ওভাবে গিয়ে ঠেকলে শুধু নিজের টাইমই লস, আর কেউও চলেই যেতে পারে সামনে থেকে।
শেষ কথা—পটুয়াখালিতে বাচ্চাদের চিকিৎসা নিয়ে আগের থেকে অনেক আপগ্রেড হয়েছে, অন্তত অভাগা মনে হয় না। বুক কাঁপলেও, এইসব ডাক্তারদের হাতে বেশ ভরসা করা যায়। বাচ্চার শরীরে কিছু একটু-আক্তু ঝামেলা লাগলেই দেরি না করে দেখান, ইউ নো? যা বললাম ওইটাই রাখুন মাথায়, টেনশন কম হবে।
ক্লিনিক-ট্লিনিকের খোঁজ নিচ্ছেন? নোট করে রাখেন —
– লাইফ কেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, পটুয়াখালী
– পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ
আরো জানার দরকার হলে, থাকলাম তো!